আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০১৫ ১১:৩৬

চিটাগাংয়ের নাটকীয় জয়

অনলাইন ডেস্ক
চিটাগাংয়ের নাটকীয় জয়

গতকাল (২৩.১১ ২০১৫) ম্যাচের শুরুতে নাটকের উপসংহার টানতে জয়টা প্রয়োজন ছিলো তামিম ইকবালের। অবশেষে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমিরের শেষ ওভারের রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার পর। উদ্বোধনী ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ততাকে বরণ করে সিলেট সুপারস্টারসকে ১ রানে হারিয়ে তৃতীয় ম্যাচে বিপিএলে প্রথম জয় পেল চিটাগং ভাইকিংস।

চিটাগং ভাইকিংসের পেসার মোহাম্মদ আমিরের শেষ ওভারে ৯ রান নিতে হতো সিলেট সুপারস্টারসকে। মাঝে দুটি বল ডট গেলেও বাকি দুই বলে দুটি সিঙ্গেল এবং পঞ্চম বল দুর্দান্ত এক কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে উত্তেজনার পারদ প্রায় আকাশে তুলে দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। শেষ বলে ৩ রান দরকার। কিন্তু এবার আর পারলেন না সিলেট অধিনায়ক। অজন্তা মেন্ডিসের সঙ্গে প্রান্ত বদলে ১ রানই নিতে পারলেন। এর আগে ওপেনার দিলশান মুনাবীরার ৩০ বলে ৬৪ রানের সুবাদে চিটাগংয়ের দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্যটা ভালোই তাড়া করতে শুরু করেছিল সিলেট। নুরুল হাসানের সঙ্গে ৬ ওভার ২ বলে গড়া ৫৪ রানের জুটিতে সম্ভাবনাটা আরও উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন মুশফিক। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। ৩৪ বলে অপরাজিত ৫০ করেও অতৃপ্তি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো সিলেট সুপারস্টারস অধিনায়ককে।

ম্যাচের আগে সিলেটের বিদেশি খেলোয়াড়দের অনাপত্তিপত্র নিয়ে এক ঘণ্টারও বেশি নাটক হয়েছে। তামিমের দাবি, পরিবার নিয়ে বাজে মন্তব্য করে তাঁকে নাকি অপমানিত করেছেন সিলেট সুপারস্টারসের মালিক আজিজুল ইসলাম। ব্যাটিংয়ে যাওয়ার সময় তাই স্বাভাবিকভাবেই একটু উত্তেজিত থাকার কথা তাঁর। সিলেটের বোলাররা সেটারই ঝাঁজ পেলেন সম্ভবত। ৪৫ বলে ৬৯ করেছেন তামিম, ছয় বাউন্ডারির সঙ্গে চার ছক্কা। বিপিএলে এখন পর্যন্ত এটিই তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস।

ফল: চট্টগ্রাম ১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শফিউল ইসলাম (চট্টগ্রাম)।

উপরে