দীপা হত্যাকারীর ফাঁসির রায়

নরসিংদীর বেলাবোতে বছরখানেক আগে রিনভী আক্তার দীপা হত্যা মামলার বিচারে একজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আল আমিন (২৮) বেলাবো উপজেলার বাজনাবো গ্রামের মিয়ার উদ্দিনের ছেলে। সে এলাকার আখের রস বিক্রেতা।
মঙ্গলবার নরসিংদীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম ফাতেমা নজীব এই রায় দেন।
গত বছর ৭ মে একই গ্রামের সৈয়দ শামসুজ্জামানের মেয়ে দীপাকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করে স্থানীয় বখাটে আল আমিন। ঘটনার রাতেই এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় দীপার বড় ভাই আতিকুজ্জামান বাদী হয়ে আল আমিনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, দীপা মনোহরদী উপজেলার পাঁচকান্দী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে টাঙ্গাইলে বোনের বাড়িতে থেকে সে কোচিং করছিল। আল আমিন দীপাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো।
ঘটনার দিন বিকালে দীপা তার এক বান্ধবীকে নিয়ে গ্রামে হাঁটতে বেরোলো আল আমিন পেছন দিক থেকে দা দিয়ে দীপাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। তাদের চিত্কারে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেলাব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
দীপার বাবা শামসুজ্জামান জানান, তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় ‘গোল্ডেন’ জিপিএ পেয়েছিল। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে দীপা ছিল সবার ছোট।
তার বড় ভাই স্কুলশিক্ষক সৈয়দ ফারুকুজ্জামান বলেন, আল আমিন দীপাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়। এরপর বিভিন্ন সময় তাকে উত্ত্যক্ত করতো।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/জেডএম