বিএম কলেজ ছাত্রলীগের দুইগ্রুপকে নিয়ে প্রশাসনের চারঘন্টা বৈঠক; সমঝোতা হয়নি

বরিশাল সরকারি বিএম কলেজে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপে চলমান বিবাদ মেটাতে দফায় দফায় বৈঠক করেছে কলেজ প্রশাসন। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় এ বৈঠক শুরু হয়ে চলতে থাকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। তবে বৈঠকে কোন সমঝোতায় পৌছতে পারেনি কলেজ প্রশাসন। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের একটিও সমঝোতায় আসতে নারাজ। এ কারনে কলেজে সংগঠিত সব ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনার দায়ভার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী মঈন তুষার এবং নাহিদ সেরনিয়াবাতকে নিতে হবে এমন সিদ্ধান্তে নিতে বাধ্য হয় কলেজ প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সরকারি বিএম কলেজের অস্থায়ী কর্মপরিষদের ভিপি মঈন তুষার ও জিএস নাহিদ সেরনিয়াবাতের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ চলে আসছিলো। আর ওই দ্বন্ধের জের ধরে তাদের কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন সংঘাতে লিপ্ত হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরে। এর কারনে কলেজের প্রশাসনিক অবস্থা বেশ নড়বড়ে হয়ে পরেছে। আর তাই উৎকণ্ঠায় পরে কলেজ প্রশাসন। বেশ কিছুদিন ধরে এ দ্বন্ধের নিরসনের চেষ্টা করলেও তাতে ব্যার্থ হয়েছে কলেজ প্রশাসন। পুলিশের পক্ষ থেকে এ দ্বন্ধ নিরাসনে চাপ প্রয়োগ করা হলে বাধ্য হয়ে রবিবার রাতে কলেজ প্রশাসনের বিশেষ জরুরি সভা ডাকেন কলেজ অধ্যক্ষ। ওই সভায় উপস্থিত হন বিএম কলেজের অস্থায়ী কর্মপরিষদের ভিপি মঈন তুষার ও জিএস নাহিদ সেরনিয়াবাত। সভায় উপস্থিত রাখা হয় কোতয়ালী থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেনকেও। এছাড়া কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক স ম ইমানুল হাকিম, উপাধ্যাক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম, শিক্ষক পরিষদের সাধারন সম্পাদক এ এস কাইউম উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক ক্লাবের সাধারন সম্পাদক এস এম আলাউদ্দিনসহ কলেজ প্রশাসনের সকল সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএম কলেজ প্রশাসনের সদস্য এক শিক্ষক জানান, পুরো সভা চলাকালীন সময়ে মঈন তুষার ও নাহিদ সেরনিয়াবাত একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সভায় উচ্চবাক্য বিনিয়ময়ও হয়। তবে কোন সমাধানে আসা সম্ভব হয়নি। কারন কলেজ প্রশাসনের কোন সিদ্ধান্ত এমনকি নিজেরা মিলতেও অপরগতা প্রকাশ করেন ছাত্রলীগের এ দুই নেতা। এ কারনে অনাকাঙ্খিত ঘটনার দায়ভার এ দুই নেতাকে নিতে হবে এমন বিষয় উল্লেখ করে সন্ধ্যা ৬ টায় শুরু হওয়া সভা রাত ১০টায় শেষ করতে বাধ্য হয় কলেজ প্রশাসন।
বিএম কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক স ম ইমানুল হাকিম বলেন, সভা হয়েছে। ছাত্রলীগের দুই নেতা মঈন তুষার ও নাহিদ সেরনিয়াবাত ও উপস্থিত ছিলো। তবে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে আবার বৈঠক হবে।
