৭০০ কোটি টাকা লোপাট…!
একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা সাতশ’ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন খোদ কেন্দ্রীয় গভর্নর।
যদিও ‘অজ্ঞাত কারণে’ কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থ লোপাটকারীর পরিচয় প্রকাশ করছে না।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় অর্থ লোপাটের বিবরণ দেন।
গভর্নর তার লিখিত বক্তব্যে জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের অভিযুক্ত পরিচালকদের অপসারণ করা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখন ফৌজদারি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
আগামীতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এজন্য এই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানটির নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।”
গভর্নর তার বক্তৃতায় এ ঘটনাকে আর্থিক খাতের সুশাসনের জন্য ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন।
গভর্নর বলেন, “একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাবেক চেয়ারম্যান নিজ নামে এবং স্ত্রী, কন্যা, তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছেন। যার বর্তমান স্থিতি সাতশ কোটি টাকার বেশি।
“এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কিছু ঋণ হিসাবকে শ্রেণিকৃত ঋণ (সিএল) বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত না করা, বিরূপ শ্রেণিকৃত ঋণকে অশ্রেণিকৃত হিসেবে দেখানো, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অনেক ঋণ হিসাবকে সিআইবিতে রিপোর্ট না করা, বিভিন্ন গ্রাহকের অগোচরে তাদের ঋণ হিসাবের বিপরীতে ছায়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পরিচালকরা অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলনের মতো গুরুতর অনিয়ম উদ্ঘাটিত হয়েছে।”
নিজের প্রভাব খাটানোর স্বার্থে ওই ব্যক্তি তার মালিকানাধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট লোকজনের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠনের বিষয়টিও প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান।
সভায় লিজিং কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সতর্ক করে দিয়ে গভর্নর বলেন, “অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। এ ধরনের অনিয়মের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য পরিচালনা পর্ষদ ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে আপনাদেরই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
বিডিটাইমস৩৬৫ ডটকম/একে